শ্রমিক ক্ষমতায়ন
উদ্দেশ্য
কর্মক্ষেত্রে অব্যাহত নিরাপত্তা বজায় রাখতে শ্রমিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ – এবং তারা যেন একটি সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে পারে সেজন্য তাদের প্রয়োজন শ্রমিক প্রতিনিধি কাঠামোসমূহের এবং যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর সহযোগিতা যা বিশ্বস্ত, বিশ্বাসযোগ্য এবং কার্যকর । কারখানার শ্রমিকরা যেন তাদের উদ্বেগের কথা জানাতে পারে সে সুযোগ তৈরি করে দেবার ব্যাপারে এবং বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুসারে ( গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত ) সেফটি কমিটি গঠন নিশ্চিতকরণে এবং সহায়তা প্রদানে অ্যালায়েন্স প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ।
কৌশলগত উদ্যোগসমূহ
শ্রমিক ক্ষমতায়নে অ্যালায়েন্স সম্প্রতি দুটি উদ্যোগ গ্রহন করেছে যেন শ্রমিকরা তাদের সমস্যার কথা জানাতে পারে এবং যেন তাদের সমস্যার যথাযথ সমাধান হয় ।
অ্যালায়েন্স শ্রমিক হেল্পলাইন
অ্যালায়েন্স শ্রমিক হেল্পলাইন – বাংলায় আমাদের কথা – হলো একটি থার্ডপার্টি রিপোর্টিং চ্যানেল যেখানে শ্রমিকরা তাদের নাম পরিচয় গোপন রেখে তাদের সমস্যার কথা রিপোর্ট করতে পারবে যেন তাদের সমস্যাগুলো সময়মতো সমাধান করা যায় । কর্মক্ষেত্রের সমস্যা সমাধানে এক যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহন করেছে হেল্পলাইন যা বাংলাদেশ তৈরি পোশাক শিল্প খাতের শ্রমিক এবং কারখানার ভেতর যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করেছে । শ্রমিকরা তাদের নিরাপত্তাজনিত ( এবং অন্যান্য যে কোনো ) সমস্যা আমাদের কথায় রিপোর্ট করেন মোবাইল ফোনে এবং সপ্তাহে ৭ দিন, দিনরাত ২৪ ঘন্টা তাদের জন্য রয়েছেন প্রশিক্ষিত হেল্পলাইন স্টাফ । সংগৃহিত তথ্য কারখানা ম্যানেজারদের অবহিত করা হয় এবং ম্যানেজার কর্তৃক যাচাই করা হয় । যেকোনো গুরুতর নিরাপত্তাজনিত সমস্যা যাচাই করা হয় অ্যালায়েন্সের প্রকৌশলীগন কর্তৃক । শ্রমিক কর্তৃক উত্থাপিত সমস্যার যে সব ক্ষেত্রে পদক্ষেপ গ্রহন প্রয়োজন পড়ে সে সব ক্ষেত্রে কারখানাগুলো যথাযথ সাড়া প্রদান করে, এবং হেল্পলাইন স্টাফরা উক্ত সমস্যার ব্যপারে কি পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে তা উক্ত শ্রমিককে পুনরায় অবহিত করেন । এই যোগাযোগ মাধ্যম দ্বারা প্রাপ্ত তথ্য কারখানাগুলোর নিরাপত্তা এবং শ্রমিক সমস্যা বিষয়ক সচেতনতা উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করে, শ্রমিকদের গোপনীয়তা সংরক্ষণ করে এবং শ্রমিকদের এই মর্মে আত্নবিশ্বাসী করে তোলে যে তাদের যে কোনো সমস্যাকে গুরুত্ব প্রদান করা হয় এবং সে বিষয়ক যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করা হয় । হেল্পলাইন বিষয়ক আরও তথ্য, নিউজলেটার এবং কল রিপোর্ট জানতে পারবেন এখানে ।
সেফটি কমিটি
অ্যালায়েন্স সদস্য কোম্পানিদের চুক্তিতে যে বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত রয়েছে তা হলো গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত শ্রমিক প্রতিনিধি কাঠামো প্রতিষ্ঠায় সহায়তা প্রদান যেখানে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে পেশাগত নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যা চিহ্নিতকরণ, ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ এবং অ্যালায়েন্স সদস্য কোম্পানির জন্য পণ্য উৎপাদনকারী সমস্ত কারখানাতে এই বিষয়টি কার্যকরভাবে তুলে ধরা । বাংলাদেশের নতুন শ্রম আইন অনুসারে কারখানাগুলোকে পেশাগত নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য কমিটি গঠন করতে হবে, এবং প্রবন্ধসহ শ্রম আইন প্রকাশিত হয়েছে সেপ্টেম্বর ২০১৫-এ ।
১২ টি কারখানায় পরীক্ষামূলক সেফটি কমিটি গঠন পরিচালনায় অ্যালায়েন্স আইএলও/ আইএফসি বেটার ওয়ার্ক প্রোগ্রামের সঙ্গে কাজ করছে । এছাড়াও সেফটি কমিটির সদস্যদের প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য অ্যালায়েন্স স্থানীয় প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করছে । পরীক্ষামূলক এই সেফটি কমিটি এবং অন্যান্য উদ্যোগের প্রচেষ্টার অভিজ্ঞতার আলোকের ওপর ভিত্তি করে অ্যালায়েন্স সদস্য কোম্পানির জন্য পণ্য উৎপাদনকারী সমস্ত কারখানাতে সেফটি কমিটি প্রতিষ্ঠায় অ্যালায়েন্স কাজ করবে ।