সংস্কার
সাপ্লায়ার ফাইনান্স হ্যান্ডবুক:
শীঘ্র আসিতেছে
কারখানাগুলোর জন্য কারিগরী নির্দেশিকামূলক ডকুমেন্ট:
কম্প্লায়েন্স বুলেটিন – অগ্নি প্রতিরোধ ব্যবস্থা অনুমোদন
অগ্নি প্রতিরোধি জয়েন্ট সিস্টেম
উদ্দ্যেশ্য
পরিদর্শন শেষে সংস্কারের দিকে যখন মনোনিবেশ করা হয়, তখন অ্যালায়েন্স কোথায় কোথায় নিরাপত্তা লঙ্ঘিত হয়েছে তা সঠিকভাবে তুলে ধরতে কারখানাগুলোর সঙ্গে কাজ করে । অ্যালায়েন্স সংস্কার কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হলো বিশ্বাসযোগ্যতা এবং কমপ্লায়েন্টের অগ্রগতি নিশ্চিত করতে কারেকটিভ অ্যাকশন প্ল্যান (CAP) প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কারখানাগুলোকে নির্দেশনা প্রদান করে ভবন, বিদ্যূৎ ও অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক বাস্তবভিত্তিক উন্নয়ন সাধন করা । এছাড়াও সংস্কার কাজের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানার শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ প্রদানে এবং সংস্কার কাজে আর্থিক সমস্যা দূর করতে সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা প্রদান এবং সংস্কার সরঞ্জামের ওপর থেকে শুল্ক হ্রাসের ব্যাপারে অ্যালায়েন্স প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ।
কৌশলগত উদ্দ্যোগ
কারেকটিভ অ্যাকশন প্ল্যান সহ সংস্কার কাজে নির্দেশনা
পরিদর্শনের রিপোর্ট পাওয়ার পর, প্রতিটি কারখানাই সংস্কার পর্বে প্রবেশ করে । কখনও কখনো খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার প্রয়োজন পড়ে, কিন্তু কিছু আইটেম (যেমন স্প্রিংকলার স্থাপন এবং স্ট্রাকচারাল রেট্রোফিটিং ) সংস্কার সম্পন্ন করতে এক বছরেরও বেশি সময় লাগতে পারে । সংস্কারের কাজ ততক্ষন পর্যন্ত চলতে পারে যতক্ষন পর্যন্ত না কারেকটিভ অ্যাকশন প্ল্যান –এ উল্লেখিত সমস্ত নন- কম্প্লায়েন্স এর কাজ কারখানা সম্পন্ন না করে, এরপর কারখানায় চুড়ান্ত পরিদর্শন করা হয় ।
একটি গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো চুড়ান্ত পরিদর্শন সম্পন্ন হওয়ার পরেও সমস্ত কারখানাগুলোকেই নিরাপত্তা বজায় রাখার লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহন অব্যাহত রাখতে হবে যার ভেতর অন্তর্ভুক্ত থাকবে স্বল্প-ঝুঁকিপূর্ণ নিরাপত্তা আইটেমগুলোর সময়ের সাথে সাথে উন্নয়ন ঘটানো, সরঞ্জাম এবং স্থাপনকৃত সিস্টেম রক্ষণাবেক্ষণের জন্য শিডিউল তৈরি করা, এবং টেকনিকাল স্টাফদের প্রশিক্ষণ অব্যাহত রাখা । অ্যালায়েন্স সদস্য কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কাজ করবে এটা নিশ্চিত করতে যে সদস্য কোম্পানিগুলো যে সমস্ত কারখানা থেকে পণ্য ক্রয় করে থাকে সে সমস্ত কারখানাগুলো অ্যালায়েন্স মানদন্ড অনুসরণ করে চলবে ।
ঋণ সুবিধা
সংস্কার কাজে গড়ে প্রতিটি কারখানার আনুমানিক ব্যয় $২৫০,০০০ থেকে $৩৫০,০০০ পর্যন্ত, এবং অনেক কারখানা রয়েছে যাদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা উন্নয়নের জন্য বাহ্যিক আর্থিক সহযোগীতা প্রয়োজন । বাংলাদেশের মতো দেশে কতিপয় নিষেধাজ্ঞামূলক ফ্যাক্টরের কারণে – যেমন উচ্চ সুদের হার – অনেক কারখানার মালিক সংস্কার কাজের প্রাথমিক পর্যায়ে সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা পেয়ে থাকেন না । অ্যালায়েন্স কারখানাগুলো যেন সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা পেতে পারে সে ব্যাপারে অ্যালায়েন্স দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং অ্যালায়েন্স আর্থিক সহযোগীতার ব্যাপারে অনেকগুলো সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে ।
সদস্য কোম্পানিগুলোর প্রতিশ্রুতিসমূহ : দ্বিপাক্ষিক ঋণ
অ্যালায়েন্স সদস্য কোম্পানিগুলো যে সমস্ত কারখানা থেকে পণ্য ক্রয় করে থাকে সে সমস্ত কারখানাগুলোকে প্রত্যক্ষ ঋণ প্রদান, ঋণের জামিন এবং অন্যান্যভাবে ঋণ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে আর্থিক সহযোগীতা প্রদানের জন্য সর্বমোট ১০০ মিলিয়ন ডলারের একটি আর্থিক তহবিল গঠনের জন্য ইতিমধ্যেই প্রতিশ্রুতবদ্ধ ।
ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্স কর্পোরেশন ( আইএফসি ): স্থানীয় ব্যাংকের মাধ্যমে স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা গ্রহন
সংস্কার কাজের জন্য গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিগুলোতে ঋণদান বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্থানীয় ব্যাংকগুলোকে অর্থায়নের জন্য অ্যালায়েন্স আইএফসির সঙ্গে অংশিদ্বারিত্ব গড়ে তুলছে । এই ধরণের অংশিদারিত্ব এই প্রথম এবং দীর্ঘমেয়াদে, স্বল্পসুদে মোট ৫০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থায়ন করা হবে । সংস্কার কাজের জন্য সহজ শর্তে কারখানাগুলোকে ঋণ প্রদানের জন্য বাংলাদেশের ৫ টি ব্যাংক প্রত্যেককেই ১০ মিলিয়ন ডলার করে প্রদান করা হবে । কারখানার মালিকেরা এই ঋণ স্বল্পসুদে এবং দীর্ঘমেয়াদে পরিশোধ করার সুযোগ পাবেন, এতে করে ঋণ পরিশোধের ঝুঁকি তাৎপর্যপূর্ণভাবে কমে আসবে । এছাড়াও এই সুবিধা প্রতিষ্টাকে আরও তরান্বিত করতে অ্যালায়েন্স সরাসরি ২৫০,০০০ ডলারের একটি তহবিল গঠন করেছে ।
ইউএসএইড ডেভেলপমেন্ট ক্রেডিট অথরিটি (ডিসিএ )
যে সমস্ত ক্ষুদ্র কারখানাগুলো আইএফসি প্রোগ্রামের জন্য উপযুক্ত নয় সে সমস্ত কারখানাগুলোকে ঋণ সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে ইউএসএইড ডেভেলপমেন্ট ক্রেডিট অথরিটি (DCA)-এর সঙ্গে কাজ করছে । রপ্তানিমূখি ক্ষুদ্র এবং মাঝারি কারখানাগুলোকে ঋণ সুবিধা প্রদানের জন্য ১৮ মিলিয়ন ডলারের তহবিল প্রয়োজন । এ ধরণের অংশিদারিত্ব এই প্রথম যেখানে DCA ঋণ সুবিধা ইন্ডাষ্ট্রি কোয়ালিশনের সঙ্গে সরাসরি প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে । কারখানাগুলোকে ঋণ প্রদানের জন্য DCA স্থানীয় ব্যাংকগুলোর সঙ্গে কাজ করবে । এই ঋণ সুবিধা শুধু মাত্র অ্যালায়েন্স সদস্য কোম্পানিগুলোর জন্য পণ্য উৎপাদনকারি কারখানাগুলো এবং যে সমস্ত কারখানাগুলোতে ইতিমধ্যে পরিদর্শন করা হয়েছে এবং তাদেরকে কারেকটিভ অ্যাকশন প্ল্যান দেয়া হয়েছে । অ্যালায়েন্স এই সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে ১.৫ মিলিয়ন ডলার প্রদান করবে এবং সংস্কার কাজ প্রক্রিয়ায় সহায়তার লক্ষ্যে সদস্য কোম্পানিগুলোর জন্য পণ্য উৎপাদনকারি কারখানাগুলোর জন্য কারিগরি সহায়তা প্রদান করবে ।
এই দুই সুবিধার কারণে বাংলাদেশের কারখানাগুলোর জন্য সুদের হার ১৮% থেকে কমে ৭% হবে । এই ঋণ সুবিধা চালু হবার পর, বাংলাদেশের অ্যালায়েন্স টিম সম্প্রতি ব্যাংকগুলোকে অগ্নি নিরাপত্তা, এবং ভবনের অবকাঠামোগত নিরাপত্তা সমস্যা বিষয়ক ব্যায় খতিয়ে দেখার পাশাপাশি সংস্কার কাজ এবং কারেক্টিভ অ্যাকশন প্ল্যান প্রক্রিয়ার ওপর ভিত্তি করে কিভাবে কারখানাগুলোকে ঋণ প্রদান করতে হবে সে বিষয়ক নির্দেশনা প্রদান করছে । অ্যালায়েন্স ব্যাংক গুলোকে কারিগরি সহায়তা প্রদান করবে, যেহেতু তারা কারখানার মালিকদের বাড়তি ঋণ প্রদান করছে । সহজ শর্তে ঋণদান সম্পর্কে আগ্রহি কারখানাগুলো যেন আরও কিছু জানতে পারে সেজন্য একটি প্রক্রিয়ার উন্নয়ন করছে অ্যালায়েন্স ।
শ্রমিক ক্ষতিপূরণ
জীবিকা অর্জন করতে গিয়ে কোনো শ্রমিককেই যেন জীবনের ঝুঁকি নিতে না হয় । এ বিষয়ক আমাদের যে প্রতিশ্রুতি সে অনুসারে অ্যালায়েন্স কারখানা মালিকদের সঙ্গে কাজ করছে, সংস্কার কাজের কারনে অথবা নিরাপত্তা জনিত কারণে বন্ধ হয়ে কারখানার কর্মচ্যূত শ্রমিকদের ৪ মাস পর্যন্ত পারিশ্রমিকের ৫০% প্রদান করবে অ্যালায়েন্স । এই পারিশ্রমিক বিতরণ করা হবে ওয়ার্কার ডিসপ্লেস ফান্ডের মাধ্যমে । আমাদের কাজের শুরু থেকে অ্যালায়েন্স এ যাবত মোট ৬,০০০ কর্মচ্যূত শ্রমিককে ক্ষতিপূরণ প্রদান করেছে ।