অ্যালায়েন্স সম্পর্কে বারংবার করা প্রশ্ন
+ অ্যালায়েন্স কি?
+ অ্যালায়েন্সের লক্ষ্য কি ?
+ লক্ষ্য অর্জনের জন্য আপনারা কি অন্য কোনো গ্রুপের সঙ্গে কাজ করছেন ?
+ বর্তমানে কি ধরণের অগ্রগতিমুলক কাজ চলছে ?
আমাদের লক্ষ্য ছিলো ডিসেম্বর ২০১৩ এর মধ্যে- সেক্টরগুলোর সঙ্গে একটি চুক্তিতে উপনিত হওয়া এবং সুস্পষ্ট ও সঠিকভাবে নির্দিষ্ট, সর্বসাধারণের জন্য অগ্নি, স্থাপনা এবং বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা বিষয়ক একটি মানদন্ড প্রনয়ণ করা যে মানদন্ডটির ভিত্তিতে কারখানা পরিদর্শন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে এবং পাশাপাশি শ্রমিকদের জন্য একটি পরিপূর্ণ শ্রমিক প্রশিক্ষণ পাঠ্যক্রম প্রনয়ণ হবে । আমরা এই মানদন্ড প্রনয়ণে সক্ষম হয়েছি এবং আরএমজি সেক্টরের অন্যান্য পার্টিগুলোর সঙ্গে এর সমন্বয়করণে সফল হয়েছি ।
এছাড়াও, আমাদের লক্ষ্য ছিলো অ্যালায়েন্সের ৭০০টি কারখানার প্রত্যেকটিতে জুলাই ২০১৪ এর মধ্যে পরিদর্শনের কাজ সমাপ্ত করা । বর্তমানে বাংলাদেশি পরিদর্শক এবং একটি বিশেষজ্ঞ কমিটির তত্তাবধানে পরিদর্শনের কাজ সুষ্ঠভাবে চলছে এবং ৫০% পরিদর্শনের কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়ে গেছে ।
অ্যালায়েন্স একটি পরিপূর্ণ শ্রমিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে এবং ইতিমধ্যে প্রায় ৫০% কারখানায় ৪০০,০০০ জনেরও বেশি কারখানা শ্রমিক এবং ম্যানেজারদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে । জুলাই ২০১৪ এর মধ্যে আমরা আশা করছি ১,০০০,০০০ জনেরও বেশি কারখানা শ্রমিকদের এবং ম্যানেরজারদের প্রশিক্ষণ প্রদান সম্পন্ন করবো । এবং সবশেষে, পরিদর্শনে যে সব কারখানায় নিরাপত্তা বিষয়ক সমস্যা দেখা গেছে সেই সব কারখানায় (রেমিডিয়েশনের) কাজ শুরু হয়ে গেছে ।
অ্যালায়েন্সের ছয় মাসের অগ্রগতি প্রতিবেদন বিস্তারিত দেখতে পাবেন এখানে ।
+ কারখানা পরিদর্শনে প্রাপ্ত তথ্যগুলো কি সবার জন্য উন্মুক্ত ?
+ কারখানার উন্নয়নের জন্য অ্যালায়েন্স কি আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে ?
+ কারখানার নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নের এই প্রচেষ্টায় অ্যালায়েন্স কিভাবে শ্রমিকদের সম্পৃক্ত করছে ?
আমরা বিশ্বাস করি শ্রমিকদের কন্ঠস্বর এবং তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে অবশ্যই বদল আনতে হবে ।
ডিসেম্বর ২০১৩-এ , শ্রমিকদের অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক ধারণা ও প্রয়োজনীয়তা এবং প্রশিক্ষণ পদ্ধতিতে কোনো ঘাটতি আছে কিনা তা যাচাই করার লক্ষ্যে অ্যালায়েন্স শ্রমিকদের ওপর একটি ব্যাপক জরিপ পরিচালনা করে । ৩২০০ জন শ্রমিকের ওপর পরিচালিত জরিপের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে একটি পরিপূর্ণ প্রশিক্ষণ কারিকুলাম তৈরি করা হয়েছে , যা বর্তমানে আমাদের ৭০০ এরও অধিক কারখানার একটি মানদন্ড হিসেবে কাজ করছে ।
আমরা ইতিমধ্যেই শ্রমিকদের জন্য হেল্পলাইন প্রবর্তনের কাজ শুরু করে দিয়েছি যেনো শ্রমিকরা তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য ও তাদের সমস্যার কথা সাথে সাথে তাদের নাম গোপন রেখে এবং চাকরি হারানোর কোনো রকম ভয় ভীতি ছাড়াই জানাতে পারে ।
আমাদের কারখানাগুলোতে আমরা গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত শ্রমিক প্রতিনিধিদের সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত করছি এবং আমরা তাদের সমর্থন প্রদান করি । বর্তমানে অ্যালায়েন্সের প্রায় ২০ টি কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । আমরা এইসব ট্রেড ই্উনিয়নগুলোর জন্য সুনির্দিষ্টভাবে কাজ করে যাচ্ছি এটা নিশ্চিত করতে যে তাদের প্রতি আমাদের সমর্থন রয়েছে এবং তারা আমাদের এই প্রচেষ্টার সঙ্গে সম্পৃক্ত ।
আমাদের সমস্ত কাজের ওপর শ্রমিকদের দৃষ্টিভঙ্গির যে প্রভাব রয়েছে তা নিশ্চিত করতে ,বেশ কজন প্রখ্যাত বাংলাদেশি ইউনিয়ন নেতা আমাদের উপদেষ্টা পর্ষদ-এ রয়েছেন । তাঁরা হলেন:
• সিরাজুল ইসলাম রনি,সভাপতি,বাংলাদেশ ন্যাশনাল গার্মেন্ট ওয়ার্কার লীগ(বিএনজিডব্লিউইএল)
• শুকুর মাহমুদ, সভাপতি, এক্সিকিউটিভ কমিটি অব দি ন্যাশনাল লেবার লীগ( জাতীয় শ্রমিক লীগ )
• ওয়াজেদুল ইসলাম খান, জেনারেল সেক্রেটারি, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র
+ চাকরিচ্যূত শ্রমিকদের কি অ্যালায়েন্স আর্থিক সহায়তা দেবে ?
+ মর্মান্তিক কারখানা দূর্ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্থ তাদের কোনো আর্থিক ক্ষতিপূরণ কি অ্যালায়েন্স দিয়েছে?
+ যদি শ্রমিকরা তাদের কারখানাকে অনিরাপদ মনে করে তাহলে কি তাদের নিরাপত্তা প্রদান করা হবে?
+ পরিদর্শনে যে কারখানাগুলো অনিরাপদ বলে চিহ্নিত হবে সে কারখানাগুলো থেকে সদস্য কোম্পানি কি পণ্য উৎপাদন করাবে?
শ্রমিকদের জন্য মারাত্মক এবং আসন্ন হুমকি হয়ে উঠতে পারে এমন কারখানা অ্যালায়েন্স পরিদর্শক কর্তৃক চিহ্নিত হওয়া মাত্রই তা সঙ্গে সঙ্গে কারখানার মালিককে (যে কারখানা থেকে অ্যালায়েন্স সদস্যরা পণ্য উৎপাদন করে থাকে) অবহিত করা হয় এবং অ্যালায়েন্স কর্মকর্তাগন শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত কারার জন্য তা এনটিসি – এর বিশেষজ্ঞ প্যানেলকে অবহিত করবেন।
একই সাথে, একটি নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে সক্ষম এমন কারখানাগুলোর সঙ্গে অ্যালায়েন্সের সদস্যরা কাজ করে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অ্যালায়েন্স সদস্যরা কারখানার নিরাপত্তা পরিদর্শন প্রতিবেদন এবং সংস্কার (রেমিডিয়েশন) পরিকল্পনা সহজেই দেখতে এবং পর্যালোচনা করে দেখতে পারবে ফেয়ার ফ্যাক্টরি ক্লিয়ারিং হাউসে(এফএফসি)-এর উপাত্তের মাধ্যমে। এবং এফএফসি-এর মাধ্যমে সুপারিশকৃত নিরাপত্তা বিষয়ক পদক্ষেপ বাস্তবায়নের অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে এবং নিয়মিতভাবে অন্য কারখানাগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ অব্যাহত আছে।
+ অ্যালায়েন্স কি আইনানুমোদিতভাবে দ্বায়বদ্ধ?
+ অ্যালায়েন্স কি কোনো কারখানা বন্ধ করেছে ?
+ অ্যালায়েন্স শ্রমিকদের মুজুরির কতটুকু পর্যন্ত দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ?
এছাড়াও, কারখানার নিরাপত্তা উন্নয়নে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের জন্য আমরা আরও ১০০ মিলিয়ন ডলারের সংস্থান করেছি ।
+ Does the Alliance have a protocol for receiving and resolving ethics complaints?
If you believe that Alliance staff or partners have engaged in unethical behavior, please submit a claim here. The Alliance shall not allow retaliation for reports made in good faith (see Whistleblower and Anti-Retaliation Policy here).